গ্রীষ্মকালে টমেটো চাষ হবে যেটা ভাবা খুব কঠিন সেটি এখন সত্যিই স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে তরূণ কৃষি উদ্যোক্তা আহমেদ নূর ইউভি পলিতে অসময়ে টমেটো চাষে সফলতা পান। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা এই উদ্যোক্তা জানান, চাকুরির পিছনে না ঘুরে কৃষিকে ভালোবেসে তিনি কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। তিনি আরো জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনি এই প্রদর্শনী পান। তাকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পলিশেড, মালচিং পেপার, গ্রাফটেড চারা, জৈব বালাইনাশক, রাসায়নিক ও জৈব সারসহ সার্বক্ষণিক কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়। তিনি এই গ্রীষ্মকালীন টমেটো প্রথম চাষ করেন। এখানে তিনি বারি টমেটো-৮ ও লাল বাহাদুর জাতের টমেটো চাষ করেন। তিনি ১০ জুলাই জমি প্রস্তুত করেন এবং ২০ জুলাই চারা রোপন করেন। তার এই ১০ শতক জমিতে প্রায় ৪০০ গাছ আছে এবং প্রতি গাছে ১.৫-২ কেজি টমেটো পাচ্ছেন। গ্রীষ্মকালীন বা অফসিজন টমেটো হওয়ায় বাজার মূল্য পাচ্ছেন ৮০-১০০ টাকা। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত তিনি ২ বার ফল সংগ্রহ করেছেন এখনো ফুল ও ফল আসতেছে। তার খরচ হয়েছে প্রায় ১২০০০ টাকা এবং আয় ৬০০০০ টাকার উপরে হবে বলে আশা করেন। পরবর্তীতে তিনি আরো আগাম করে আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করেন। উপকরণসহ প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনীষ সাহা সহ উপজেলা কৃষি অফিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মনীষ সাহা জানান উপজেলা কৃষি অফিসার এর নির্দেশক্রমে তিনি সঠিক সময়ে সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষি উদ্যোক্তা আহমেদ নূরকে সহযোগিতা করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ আল মামুন শিকদার জানান গ্রীষ্মকালীন টমেটো একটা উচ্চ মূল্যের ফসল। এটা চাষে সফলতা পেতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারসহ কারিগরি দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। এখানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি যেমন- আল্ট্রাভায়োলেট পলি, মালচিং পেপার, হলুদ ফাঁদ, ফেরোমন ট্রাপসহ জৈব বালাইনাশক ও জৈব সার ব্যবহার এবং ডিসাকারিং করতে হয়। তিনি আরো জানান যদি কেঊ এই গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে আগ্রহী হন সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা নিতে পারেন। কৃষি উদ্যোক্তা আহমেদ নূর সফল হওয়ায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস